শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৫ অপরাহ্ন
বিপ্লব হোসেন (ফারুক),গাজীপুরঃ গাজীপুর কালিয়াকৈর রেঞ্জের আওতায় মৌচাক বিটের বরাব মৌজায় ছাপরা মসজিদ এলাকায় এগ্রো ফরেস্ট সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান ফজর আলী, স্হানীয়দের তথ্যমতে তিনি মৌচাক ইউনিয়নের বেগমপুরের সাবেক বাসিন্দা। এর পরিচয় মেলে ধরেন এলাকার প্রবীণরা যে বিগত দিনে বংশানুক্রমিক ভাবে তুরাগ নদীর মাছ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন,বর্তমানে তিনি উল্লেখিত ইউনিয়নের বরাব মৌজাধীন ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সে উক্ত ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান না হলেও এগ্রো ফরেস্ট সমবায় সমিতির সভাপতি হওয়ার সুবাদে এলাকায় তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচিত । সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী বনে বসবাসরত ভূমিহীনদের নাগরিক সুবিধার আওতায় নিতে ১৯৯০/৯১ সালে বনভূমি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য চুক্তিভিত্তিক উল্লেখিত বসতিদের প্লট আকারে বরাদ্দ দেওয়া হয়। আর এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে ফজর মিয়া উল্লেখিত মৌজাধীন বনের ভিতর গড়ে তুলেছেন আলিশান পাকাবাড়ি সান বাঁধানো পুকুর যা দূর থেকে মনে হয় ভাওয়াল রাজার উত্তরসূরী তিনি যেন অদ্বিতীয় এই পরগনার অধিপতি। বনভূমির ফাঁকা প্লট বিক্রি করে আজ তিনি কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন উল্লেখিত ২০০ পরিবারের বিশাল সমবায় সমিতিটির অপ্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দীর্ঘ ৩৩ বছর যাবৎ দায়িত্বে থাকায় তিনি চেয়ারম্যান নাম ধারণ করিয়া নিজেকে ভাগ্যবিধাতা বলে মনে করেন। আবার অনেকে তাকে পীরজাদা হিসেবে মান্য করেন,এই হিসেবে রাতের আঁধারে চুরি করে বনের গাছ বিক্রি করলে চোরদের সংগঠন হতে অর্থের অর্ধেক অংশ ফজল পীরের ভোগে দিতে হয়। তার ভাষ্য মতে ঢাকা বন বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঙ্গে সখ্যতায় থাকায় বিগত দিনে আসা-যাওয়া বিট কর্মকর্তাগণ তাকে সমীহ করে চলতেন, পূর্বের বিট কর্মকর্তা সঙ্গে রয়েছে গভীর সখ্যতা যে কারণে সুফলের ভোগি সদস্যদের বাগান বিক্রির বহু টাকা আত্মসাৎ করিয়াছেন বলে গুঞ্জন চলছে, যাহার জেরে গোপনে বিট কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ অতি সংগোপনে কর্মস্থান পরিবর্তন করিয়াছেন বলিয়া প্লটে বসবাসরত সদস্যগণ ধারণা পোষণ করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিগন জানিয়েছেন, শহীদুল্লাহ সাহেব তাদের নিকট মে মাসের ২ তারিখ পর্যন্ত সময় নিয়েছেন, এরই মাঝে তিনি চলে যাওয়ার সংবাদটি প্রকাশ পাওয়ায় ভুক্তভোগী সদস্যগণ গোপনে তালাশ করে বেড়াচ্ছেন। ফজর চেয়ারম্যানের কুকীর্তির কোন শেষ নেই। বনে বসবাসরত তার অবাধ্যদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দিয়ে মামলা দিতেন, কায়দা করে জেল হাজতে নিতেন আবার ফরেস্ট গার্ড কর্তৃক ধৃত অপরাধীকে অনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে ছাড়িয়ে রাখতেন। এমন কায়দা কানুন দেখে উল্লেখিত রেঞ্জের আওতা যত বনবিটে বসতি রয়েছে তারা ইচ্ছাকৃত ভাবে তার মুরিদানা লাভ করিয়া পাকাপোক্ত সারগেদ বনে গেছেন। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে বিপদের পূর্বাভাস কিংবা টু শব্দ হলেই সারগেদগণ পাথুরে দেওয়ালের বেষ্টনী তৈরি করে তাকে রক্ষায় প্রাণপণ চেষ্টা করেন। কেউ না জানলেও তিনি জানেন একএক বিটের আওতায় কতগুলো বাগান কাঠ নিলামে বিক্রয় হয়, রাজস্ব আদায়ে জমা কত হয়, উপকার ভোগীর হিস্যার পরিসংখ্যান কত? সুফল প্রকল্পের আওতায় কত হেক্টর বাগান সৃজন করা হইয়াছে, রাজস্ব খাতের আয় বরাদ্দে কত হেক্টর বাগান সৃজন করা হইয়াছে? টি এফ এফ এর অর্থ দ্বারায় কত হেক্টর বাগান সৃজন করা হইয়াছে? বিক্রয় করা বাগানের কাঠ কত ঘনফুট? পূর্বে উল্লেখিত প্রকল্পের আওতায় কতগুলো প্লটে বাগান সৃজন করা হয়েছিল? ইত্যাদি কিছু সাংবাদিকরা না জানলেও ওই ব্যক্তির কাছে অনেক তথ্য পাওয়া যায় যে কারণে বনবিভাগের অনেক অসাধু কর্মকর্তা তার কাছে ধরাশায়ী। স্থানীয়দের দেওয়া তথ্য মতে জানা যায় ফজরের মুরিদানা লাভ করেই ওই সমিতির সদস্য জামাল মিয়া গেজেট ভুক্ত বনে বহুতল ভবন নির্মাণ করিয়াছেন,আবার শাহাজুদ্দিন রিয়াজুলের মতো বনবিটের সদস্য /শহীদুজ্জামান জুয়েল মেম্বারের অবাধ্য হওয়ার কারণে জেল হাজতে গেছেন তিনি হলেন পীর সাহেবের মাথার ছাতা, মৌচাক, ফটিক মার্কেট, মধ্যপাড়া, মাজুখান,এ সমস্ত প্লটের মালিক / সদস্যদের নিয়ে গড়ে ওঠা সমবায় সমিতি গুলোর সদস্যগণ নানাবিদ সুবিধা পেতে তারই মুরিদানা লাভ করিয়াছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। মজিবর, ছাত্তার, খালেক বয়াতিরা রয়েছেন নায়েব, সেনাপতির ভূমিকায়। ফজরের বিয়াই সায়েদ আলী হিসাব রক্ষক /পার্সোনাল ম্যানেজার যার নেতৃত্বে ছোটখাটো ফ্যাক্টরি ও বন প্লট বিক্রি করতে বনের ভিতর বৈদ্যুতিক সংযোগ ও রাস্তা নির্মাণ করে থাকেন বিনিময়ে সুবিধাভোগীদের নিকট থেকে ফজর পীরের দরগার নামে আদায় করেন লক্ষ লক্ষ টাকা, এব্যপারে মুঠোফোনে কথা বলে সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ততা প্রকাশ করে বলেন তোমার চেয়ে অনেক বড় বড় সাংবাদিক আমার বওয়াত বনে মুরিদানা লাভ করিয়াছে, সোজা পথে চল মিয়া নইলে হিসাব বরাবর করে দেব তোমার এই সংবাদ যেখানে পৌঁছাতে যাবে সেখানেই আমার মুরিদান রহিছে সুতরাং বলে মোবাইল সংযোগ-টি বিচ্ছিন্ন করে দেন। মৌচাক বিটের বরাব মৌজায় অফিসের তথ্য অনুযায়ী মোট ভূমি ২০৩৯ একর তার মাঝে ১০,,৩৩ শতক ভূমি পীর সাহেবের দখলে উক্ত এলাকায় মসজিদ মার্কেট, ফটিক মার্কেটে, জাফরা মসজিদ এলাকায় গড়ে তুলেছেন মার্কেট কিংবা সেনেটারির মতো ক্ষুদ্র শিল্প, ইতিমধ্যে ভূমি দালালরা প্লট বিক্রয় করে শিল্প কারখানার নামে ভুয়া সম্পত্তি অনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে রাস্তা নির্মাণ করে দখল করে রেখেছেন। বন ধ্বংসে দায়ীকে বিশেষ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে দুর্নীতি দমন কমিশন ও পরিবেশ অধিদপ্তর সহ বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন মহলের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন এলাকাবাসীসহ পরিবেশ বাদীগন। [ আঁধারে ঢাকা আরো অনেক জটিল গোপন বিষয় নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে আগামীকালের পত্রিকা ]